
আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা
আমেদাবাদ এর বিমান দুর্ঘটনা যেন এক জ্বলন্ত জীবন্ত মৃত্যুপুরী, যেখানে হাজার হাজার মানুষের আর্তনাদ সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল 2025 সালের ১২ই জুন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আশঙ্কা এখনো পর্যন্ত ২৭০ ছাড়িয়েছে। এমনকি শনিবার আরও বেশ কিছু মৃত্যুর খবরনি। যেখানে পুত্র হারা মা ও শোকাহত এই বিমান দূর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আশঙ্কা এখনো পর্যন্ত ২৭০ ছাড়িয়েছে। এমনকি শনিবার আরও বেশ কিছু মৃত্যুর খবরনি। যেখানে পুত্র হারা মা ও শোকাহত এই বিমান দূর্ঘটনায়

কিভাবে ঘটল এই আমেদাবাদের জানেন কি? কেউই ঠিক ভাবে বলতে পারছে না কেন? কিভাবে? এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানি নগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ওই হস্টেলে ২৪২ জন ঈমান যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১। এখনো পর্যন্ত জানা গেছে বিমানে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ, একজন কানাডিয়ান। এছাড়ও জানা গেছে দু’জন পাইলট ছাড়াও ছিলেন ১০জন ক্রু।
মৃত্যুর নিষ্ঠুরতা
আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় এক সেকেন্ডে ধ্বংস হওয়া স্বপ্ন বেঁচে থাকার আশা। বিমানটি মাটিতে আঘাত হানার আগ পর্যন্ত যাত্রীরা হয়তো পরিকল্পনা করছিলেন এই অবস্থা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনা চিরতরে বিদায় নিল। কল্পনা করছিলেন প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্ত। কিন্তু বিমানের ধংসের সঙ্গে সঙ্গে সব আশা-ভরসা ধূলিসাৎ হয়ে গেল।
- মায়েদের আর্তনাদ
মায়েরা, যারা সন্তানদের পাঠিয়েছিলেন কাজে বা পড়াশোনায়, তারা এক মুহূর্তে পুত্রশূন্য হয়ে পড়লেন। কোনো শেষ কথা, কোনো বিদায় সম্ভাষণ ছাড়াই চিরবিদায় নিল তাদের আদরের সন্তান। এই আকস্মিক মৃত্যুর নির্মমতা মায়েদের হৃদয়ে গেঁথে যাওয়া একটি ক্ষত যা কখনো শুকাবে না। আমেদাবাদের হাসপাতাল ও মর্গের বাইরে মায়েদের কান্না আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে। কেউ সন্তানের শবাধর জড়িয়ে ধরে অচেতন হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি মায়ের কষ্ট যেন সমষ্টিগত মানবতার বেদনায় রূপ নেয় আমেদাবাদের 5।

বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রীর বিবরণ
৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ এই দুর্ঘটনার একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, বিমানটি উড্ডয়নের পরই একটি বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পান, চারপাশে শুধু মৃতদেহ ও বিমানের টুকরো ছড়িয়ে থাকতে দেখেন । তাঁর ভাই অজয়ও এই দুর্ঘটনায় নিহত হন, যার দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ন যাত্রীই ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি সকলেই প্রয়াত।
দুর্ঘটনার এতটাই তীব্রতা ছিল যে, বিমানের সামনের অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল যখন গিয়ে পৌঁছায়, তখন অনেক কিছুই শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের চোখে এখন শুধুই অশ্রু, কানে বাজছে একটাই কথা — “সব শেষ”। বিশেষ করে মায়েদের হাহাকার গোটা দেশকে কাঁদিয়ে দিয়েছে। সেই মায়েরা, যাঁরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন, আজ শুধুই স্মৃতির মধ্যে তাদের ছেলের ছবি আঁকছেন।
এই দুর্ঘটনা শুধু একটি খবর নয় , এটি শত শত পরিবারের জীবনভাঙা এক বাস্তবতা। এক সেকেন্ডের মধ্যে “সব শেষ” হয়ে যাওয়া এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয়, জীবন কতটা অনিশ্চিত।
ভারতের ইতিহাসে অন্যান্য বড় বিমান দুর্ঘটনাগুলি হলো-
এই ঘটনাকে ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৯৬ সালের চরখি দাদরি সংঘর্ষ যেখানে নিহত হয়েছে ৩৪৯ জন এবং ২০১০ সালের ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা ১৫৮ জন নিহত।
আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা হলো ২০২৫ সালের ১২ জুন তারিখে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, যেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
ফ্লাইট টির নাম এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ , বলা হয়েছে যে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে ইঞ্জিনে জ্বালানি দূষণ বা শক্তি হারানোর কারণে বিমানটি গতি ধরে রাখতে পারেনি, বিমানটি উড্ডয়নের পর ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, ইত্যাদি কারণে হয়তো বিমানের ভারসাম্য হারিয়ে যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই দুর্ঘটনা শুধু একটি বিমান বিপর্যয় নয়, এটি শতাধিক পরিবারের জন্য এক অনন্ত শোকের ইতিহাস হয়ে রইল। এখনও তদন্ত চলমান থাকলেও, এই ঘটনা বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কঠোরভাবে পর্যালোচনা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।