
Income Certificate
আয় সার্টিফিকেট ( Income Certificate ) কী?
আয় সার্টিফিকেট ( Income Certificate ) একটি সরকারি দলিল যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় কত? এছাড়াও এই সার্টিফিকেট বিভিন্ন সরকারি সুবিধা, স্কলারশিপ, বৃত্তি, বা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হয় যায় গুরুত্ব খুব গুরুত্ব পূর্ণ। প্রতিটি মানুষকে কোথাও না কোথাও আয় সার্টিফিকেট বের করতে হয়েছে। কিভাবে তোমরা এই সার্টিফিকেট বাড়িতে বসে একটাকাও খরচ না করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আয় সার্টিফিকেট বানাতে পারবে।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আয় সার্টিফিকেট ( Income Certificate ) পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। খুব অল্প দিনের মধ্যে আয় সার্টিফিকেট ( Income Certificate ) পেয়ে যাবে। আয় সার্টিফিকেট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই সার্টিফিকেট স্কলারশিপ, বৃত্তি, সরকারি সুবিধা, বা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবশ্যক দরকার। আগে শুধুমাত্র অফলাইনে আবেদন করা গেলেও এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “e-District পোর্টাল” এবং “শ্রী (SREI) পোর্টাল” এর মাধ্যমে সহজেই অনলাইনে আবেদন করা যায়।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র
অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র, আবেদনকারী ও পরিবারের সদস্যদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড যা অন্য কোন পরিচয় প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে, মোবাইল নম্বর otp ভেরিফিকেশনের জন্য, তাছাড়া সাথে ব্যাংক পাসবুক, রেশন কার্ড থাকা যদি প্রয়োজন হয়।
আবেদন পদ্ধতির ধাপ
প্রথমে আবেদনকারীকে “West Bengal e-District পোর্টাল” “https://edistrict.wb.gov.in” অথবা WB সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট “https://wb.gov.in” -এ প্রবেশ করতে হবে। নতুন ব্যবহারকারীদের “New User Registration”-এ ক্লিক করে তারপর একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে, যেখানে মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য ঠিক করে ফিলাপ করতে হবে। ইতিমধ্যে অ্যাকাউন্ট থাকলে Login অপশন ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে। লগইন করার পর “Apply for Services” বিভাগে যেতে হবে এবং সেখান থেকে “Income Certificate” সার্ভিসটি নির্বাচন করতে হবে।
এরপর আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্মে আবেদনকারীর নাম, পিতার বা স্বামীর নাম, স্থায়ী ঠিকানা, আধার নম্বর, পরিবারের সদস্যদের বিবরণ এবং বার্ষিক আয়ের উৎস (যেমন—কৃষি, চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি) উল্লেখ করতে হবে। এই তথ্যগুলো ভুল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে কিংবা ভুল সার্টিফিকেট প্রদান হবে, তাই সতর্কতার সাথে ফিলাপ করতে হবে। ফর্ম পূরণ শেষ হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে, যেমন—আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ড এবং ব্যাংক পাসবুক (যদি প্রয়োজন হয়)। ডকুমেন্টগুলোর স্ক্যান কপি বা স্পষ্ট ফটো জমা দিতে হবে যাতে সেগুলো সহজেই ভেরিফাই করা যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভালো ভবে ফোটো তুলে আপলোড করতে পারো।
ডকুমেন্ট আপলোড করার পর আবেদন ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে (যদি ফি প্রযোজ্য হয়)। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে “Submit” বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি রেফারেন্স নম্বর দেওয়া হবে, যা পরে আবেদনের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য “Track Application Status” অপশনে গিয়ে রেফারেন্স নম্বর দিয়ে খোঁজ করতে হবে। সাধারণত ৭থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
অফলাইনে কীভাবে সার্টিফিকেট আবেদন করবেন
আবেদন অনুমোদিত হলে, আবেদনকারী “Download Certificate” অপশন থেকে সরাসরি আয় সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হতে পারে। যদি কোনো কারণে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে কারণ জানার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
যারা অনলাইনে আবেদন করতে অসুবিধা বোধ করেন, তারা সরাসরি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আয় সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্য বা সচিবের কাছ থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এরপর একজন কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর বাড়ি ভেরিফিকেশন করবেন এবং প্রমাণপত্র যাচাই করার পর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আয় সার্টিফিকেট পেতে কোনো অসাধু মাধ্যম অবলম্বন করা উচিত নয়, কারণ এটি একটি আইনগত দলিল এবং ভুল তথ্য দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো সমস্যা বা জিজ্ঞাসা থাকলে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস (BDO) বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেল্পলাইন নম্বর (1800-345-3464) -এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে যেকোনো নাগরিক সহজেই পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত আয় সার্টিফিকেট পেতে পারেন।