
Hero Xpulse
Hero XPulse বাইটি সিরিজে বিভিন্ন মডেল রয়েছে, যেমন এক্সপাল্স ২০০ ৪ভি, এক্সপাল্স ২১০, এবং আসন্ন Xpulse ৪২১ ও এক্সপাল্স ৪০০।
১. হিরো এক্সপাল্স ২০০ ৪ভি (Hero XPulse 200 4V)
যার ইঞ্জিন রয়েছে ১৯৯.৬ সিসি, তারসাথে ৪-স্ট্রোক, ৪-ভাল্ভ, অয়েল-কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার দিয়ে বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। বাইকটি পাওয়ার প্রদর্শন করে ১৮.৯ bhp, ৮৫০০ RPM। ফ্রন্ট সাসপেনশন টেলিস্কোপিক ফর্ক (২১০ মিমি ট্রাভেল)।ব্রেকিং সিস্টেমে থেকেছে ২৭৬ মিমি পেটাল ডিস্ক যেটা সিঙ্গেল চ্যানেল। গাড়ির মধ্যে তোমরা ফিচার্স পেয়ে যাবে LED হেডল্যাম্প, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন, USB চার্জার, ৩ ABS মোড । এছাড়া ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার।

২. হিরো এক্সপাল্স ২১০ (Hero XPulse 210)
যার ইঞ্জিন থাকছে ২১০ সিসি, ৪-ভাল্ভ, ডিওএইচসি, লিকুইড-কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার দারা পরিচালিত। পাওয়ার প্রদর্শন করে ২৪.৬ PS, ৯২৫০ RPM। টর্ক প্রদর্শন করে ২০.৭ Nm,৭২৫০ RPM। ৬-স্পিড অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ ট্রান্সমিশন , ব্রেকিং সিস্টেম ডুয়েল চ্যানেল ABS। এই বাইকের মধ্যে তোমরা পেয়ে যাচ্ছ ৪.২-ইঞ্চি TFT ডিসপ্লে, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, LED প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, হ্যাজার্ড লাইট ফিচার্স। ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার।
৩. হিরো এক্সপাল্স ৪২১ (Hero XPulse 421)
আসন্ন এই ভাইকে ইঞ্জিন রয়েছে ৪০০-৪২১ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড-কুলড আনুমানিক করা যায়। বাইকটির পাওয়ার প্রদর্শন করে ৩৫-৪০ bhp, ৬-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ডুয়াল চ্যানেল ABS ব্রেকিং সিস্টেম। ট্রেলিস ফ্রেম, টিএফটি ডিসপ্লে, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচার্স দেখতে পাওয়া যাবে। বাইকটি ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে আগস্ট মাসে সম্ভবত এর প্রাইজ কিন্তু তোমরা ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লাখের কাছে দেখতে পাবে।
চলুন এবার জেনে নেওয়ার যার বাইক গুলির দাম কেমন।প্রথম যে Hero XPulse বাইকটি রয়েছে, এক্সপাল্স ২০০ ৪ভি যা ভারতীয় মুদ্রায় ₹১.৪৪ লাখ থেকে শুরু। দ্বিতীয় যে বাইকটি রয়েছে তার দাম কিন্তু আরো বেশি সম্ভবত তোমরা এটি ভারতীয় মুদ্রায় ₹২ লাখ টাকার বাজেট করেছে। আসন্ন আসন্ন যে হায়েস্ট মডেল বাইকটি রয়েছে ৪২১ থেকে ৪০০ সিসির যে বাইকটি যা ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের লঞ্চ করতে চলেছে তার দাম কিন্তু এখনো ঘোষণা করা হয়নি তো সম্ভবত এর দাম হতে পারে ₹ ৩ লাখ টাকার ভেতরে বা তার উপরেও যেতে পারে।
Hero xpulse বাইকটি তৈরি করার আসল রহস্য কী?
এবার জানা যাক Hero Xpulse বাইকটি তৈরি করার আসল রহস্য কি? হিরো এক্সপাল্সের গল্প শুরু হয় ২০১১ সালে হিরো ইমপাল্স ১৫০সিসি বাইক দিয়ে। এটি ছিল ভারতের প্রথম অ্যাডভেঞ্চার বাইক, কিন্তু এর দুর্বল ইঞ্জিন পাওয়ার ছিলো তার এবং অনুন্নত সাসপেনশন সিস্টেমের কারণে এটি বাজারে ব্যর্থ হয় বাইকটি। তবে, হিরো এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা দিতে একটি শক্তিশালী এবং আরও উন্নত অ্যাডভেঞ্চার বাইক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়, যা শেষ পর্যন্ত এক্সপাল্স ২০০-এ রূপ নেয়। তারপর ধীরে ধীরে বাইকটি তার নতুন নতুন ভার্সন আনতে চলেছে।
হিরো কোম্পানি এখন একটি বড় ইঞ্জিনের অ্যাডভেঞ্চার বাইক নিয়ে কাজ করছে। যা এক্সপাল্স ৪২১ নামে পরিচিত। এটি একটি ৪২১সিসি লিকুইড-কুলড ইঞ্জিন দিয়ে আসবে এবং ৪৫ bhp পাওয়ার উৎপন্ন করবে। এটি হিরোর অ্যাডভেঞ্চার বাইক লাইনআপকে আরও শক্তিশালী করবে।
বাইকের ব্যবহার
এই বাইকগুলো অফ-রোডিং, ট্যুরিং এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী। আরও বিস্তারিত জানতে আপনি হিরো মোটোকর্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় ডিলারশিপে যোগাযোগ করতে পারেন। বাইকটি লম্বা ট্রাভেলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর চাপা গুলি এমনভাবে তৈরি যাতে খুব সহজে যেকোনো রাস্তায় সেটা কাদামাটি হোক বা পাথরের রাস্তা খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে। গাড়িটি ইস্টকপিট রয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
Hero xpulse বাইকটিতে এয়ার কুলিং ইঞ্জিন রয়েছে যা ইঞ্জিনটিকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। এই বাইকটি কিন্তু ভ্রমণের জন্য একদম পাকাপোক্ত।
1 thought on “Hero xpulse বাইকটি তৈরি করার আসল রহস্য কী? জানেন কি? ”