
iran israel war
যদি ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ (iran israel war)চালায় তাহলে পুরো দেশ শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পসিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইজরায়েলি বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড এর কুদস ফোর্সের জেনারেল, মোহাম্মদ রেজা জাহেদি স হ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। ইরান এই হামলাকে “সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন” বলে ঘোষণা করে ও প্রতিশোধের শপথ নেয়। সেই সূত্রে ইরান “অপারেশন ট্রু প্রমিস” নামে নতুন অভিযান চালায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে । তারা প্রায় ৩০০+ ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলো ইজরায়েলের নেগেভ মরুভূমির সামরিক ঘাঁটি।

তবে তা কিছুই ক্ষতি করতে পারেনি ইজরায়েলের “আয়রন ডোম” ব্যবস্থা ও মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি সহায়তায় এক নিমেসে অধিকাংশ মিসাইল ধ্বংস করে দেয়। তবে তারা ১০০% মিসাইল ধ্বংস করতে পারেনি তার মধ্যে ইজরাইলের ক্ষতি হয়েছে সামরিক ঘাঁটি গুলি সহ একজন কিশোরী। এদিকে ইজরায়েল প্রতিহাত করতে ব্যর্থ হয়নি ইজরায়েল ইরানের ইসফাহান শহরের কাছে পরমাণু স্থাপনা ও বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায় সীমিত সময়ের জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইজরায়েলকে প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে, যুদ্ধ বিস্তার রোধে চাপ প্রয়োগ করে।
বর্তমান অবস্থা
আন্তর্জাতিক চাপে উভয় পক্ষ ইরান ও ইজরায়েল সংঘর্ষ (iran israel war) সাময়িক ভবে স্তিমিত রাখলেও দুজনে উত্তেজিত যুদ্ধ করার জন্য। ইরান দাবি করে যে তারা গোপন যুদ্ধের মাধ্যমে অর্থাৎ সাইবার আক্রমণ গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে বিজয়ী হবে। ইজরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে বদ্ধপরিকর, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংঘাত ডেকে আনতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন করলেও তারা পরোক্ষভাবে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। ভারতে চায় দুজনের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে যুদ্ধ নয় যুদ্ধ বদলে তারা সবাই শান্তিতে বসবাস করো। যুদ্ধ মানে ক্ষয়ক্ষতি আর্থিক ক্ষতি মানুষ জনের আতঙ্ক।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কী আশঙ্কা করেছেন ?
এপ্রিল ২০২৪ ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ (iran israel war) এ ইরান সরাসরি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ৩০০+ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় যা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি ভূখণ্ড-ভূখণ্ড আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করণ করা হয়েছে। ট্রাম্প বারবার করে বলেছেন, ইরানের আগ্রাসন এবং ইজরায়েলের কঠোর প্রতিক্রিয়া একটি “অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধে” রূপ নিতে পারে, বিশেষত যদি পরমাণু ইস্যু জড়িয়ে পড়ে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে, অন্যদিকে রাশিয়া ও চীন ইরানের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করা হয়। তবে এর পরিস্থিতি কি হবে তা সময় বলবে।
তবে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ (iran israel war) এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে যুদ্ধ হলে মানবিক সংকট দেখা দেবে।গাজা ও লেবাননে চলমান সংঘর্ষে জন্য ইতিমধ্যে হাজারো বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধ বিস্তৃত হলে এই সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে দেখাযাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলি ইজরায়েলের পক্ষে, অন্যদিকে ইরান-রাশিয়া-চীন সহ আরও শক্তিশালী হতে পারে যা বিশাল যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
২০২৫ সালের ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন মন্তব্য করে থাকেন, সেটি এখনো পর্যন্ত জনসমক্ষে খুব পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয়নি। ট্রাম্প ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন। যেমনটি তিনি অতীতে ভারত-পাকিস্তান বা সার্বিয়া-কসোভোর ক্ষেত্রে করেছিলেন । ট্রাম্প ইরানকে স্পষ্ট ভবে বলেন, তারা তাঁর প্রস্তাবিত পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে যা সংঘাতকে তীব্র ভবে নিয়ে যাবে। তিনি ইরানকে “তেহরান খালি করতে” আহ্বান জানান।
Table of Contents
ট্রাম্পের বক্তব্যের মূল বিষয়গুলো হলো:
- কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেওয়া।
- ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে চাপ ।
- ইজরায়েলকে সমর্থন করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো এড়ানো।

1 thought on “ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ মোড় নিতে পারে বড় যুদ্ধের এমনটি আশঙ্কা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ”