১০০ দিনের কাজ বলতে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে বোঝানো হয়, যার পূর্ণ নাম হলো মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি আইন (MGNREGA) এই ১০০ দিনের কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ এলাকার কর্মহীন মানুষদের সুরক্ষিত কাজের সুযোগ দেওয়া। বছরে প্রতি পরিবারে ১০০ দিনের মজুরি ভিত্তিক কাজের গ্যারান্টি দেওয়া।যেকোনো গ্রামীণ পরিবারের সদস্য, যিনি কাজ করতে ইচ্ছুক এবং প্রাপ্তবয়স্ক (18+) তারা এই ১০০ দিনের কাজে যোগ দিতে পারেন। ও কাজের ধরন মাটি কাটা, রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কার, খাল বা পুকুর খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচের কাজ, জল সংরক্ষণ প্রকল্প। বাকি আপডেট জানতে আমাদের সাথে থাকুন। গত বছর থেকে এই কাজ নিয়ে এখনো পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক মূলক কথা বার্তা চলছে যা নিম্নে বর্ণিত করা হয়েছে।
লিড 🗣️
গত এপ্রিলে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় সবং উপজেলার খাল খননের কাজ শেষ করেছিলেন মো. জাকির হোসেন। আজ ২০০ দিন পার হলেও এখনও পাননি ১৪,৭৫০ টাকা মজুরি। স্ত্রীর জরুরি অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ধার-বাকিতে ডুবে গেছেন তিনি। জাকিরের মতো ১৫০+ শ্রমিকের বকেয়া ২৩ লাখ টাকা, যাদের অনেকে এখন ভিক্ষাবৃত্তি বা শিশুশ্রমে বাধ্য হচ্ছেন। প্রশাসনের বার্ষিক রিপোর্টে ‘ডিজিটাল পেমেন্টের সাফল্য’ আর মাঠে বিলম্বিত মজুরির করুণ চিত্র এই দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত সবংয়ের গ্রামগুলো।
মাঠের বাস্তবতা
পরিসংখায় বাক্যের চিত্র দেখলে দেখা যায় সবংসধর ইউনিয়ন এ ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক 68 জন বকেয়া টাকা 9.8 লক্ষ্য, দীর্ঘতম 207 দিন ধরে কোন টাকার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
টাকা আটকে যাওয়ার কারণ
৮৫% ক্ষেত্রে: ভুল মোবাইল নম্বর বা ই-কেএইচসি অ্যাকাউন্টে জমা (এলজিইডির ডাটা ত্রুটি)। 12% ক্ষেত্রে: ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের “কমিশন” (৩০০-৫০০ টাকা/শ্রমিক) না দেওয়ায় তালিকা আটকে রাখা। ৩% ক্ষেত্রে: “ভূতুড়ে শ্রমিক” তৈরির তদন্ত।হঠাৎ ভুয়ো শ্রমিক তৈরি করে অনেকে টাকা নেওয়ার জন্য , ও তদন্ত হওয়ার সময় ধরা পড়লে টাকা ও বাতিল হয়ে যায় ও কিছু শ্রমিক এইসবের শিকার হয়।
ভুক্তভোগীদের কণ্ঠ
রোকেয়া বেগম (ভ্যান চালক, সবং সদর):২০৭ দিন ধরে টাকার জন্য ইউনিয়ন দপ্তরে ঘুরছি। চেয়ারম্যান সাহেব বলেন, ‘তহবিল আসেনি’। কিন্তু গত সপ্তাহে তার ছেলের বিলাসবহুল গাড়ি কেনা দেখলাম!”পল্লী কবিরাজ (৪৫, কামারখোলা)মাইনে না পেয়ে স্ত্রীর নাকের নথ বন্ধক দিয়েছি। মহাজন বলছে, ‘আগামী সপ্তাহে টাকা না দিলে জমি নেব’।আয়েশা আক্তার (মা, গৌরীপুর): মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারিনি। হেডমাস্টার বললেন, ‘টাকা না দিলে পরীক্ষা দিতে দেব না’। এখন সে গার্মেন্টে সেলাই কাজ করে।
4 এর (ক) ফর্ম জমা নিয়ে ঝামেলা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত সবং থানায় 25 জুন 100 দিনের কাজের যে বইটি থাকে ওই বইটি বন্ধ হয়ে গেছে কিনা দেখার জন্যসাধারণ লোকজন 4 এর ক ফর্মটি জমা দেওয়ার জন্য সিপিএম এর কর্মদক্ষ কিছু মানুষ ও সাধারণ পাবলিক সবং ফুড সাপ্লাই অফিসের গেটের সামনে এসে জমায়েত হন।ও ওই ফর্মটি জমা দেওয়ার জন্য গিয়েছিল যারা গিয়েছিল তাদের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং কিছু মানুষ জোর করে ঢুকার চেষ্টা করে।
সাধারণ পাবলিকের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
যেসব মানুষজন ওখানে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু মানুষজনকে পুলিশ প্রশাসন লাঠিচার্জ করে কিছু মানুষ আহত হয় ও একজন মানুষ হয় তাকে টোটো তে করে সব গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফার্স্টেড (First aid) এর জন্য। ঘটনা চক্র থেকে জানা যায় যে আহত হয়েছিল তার বাড়ি সবং থানার অন্তর্গত ভিগনি এলাকায়
বিক্ষোভ ও উত্তাপ
টাকা চাই, ভাত চাই—অধিকার আদায়ের যুদ্ধ!”এই স্লোগান নিয়ে ২০০ শ্রমিক সবং উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে। পুলিশের লাঠিচার্জে ৫ জন আহত, যাদের মধ্যে রোকেয়া বেগমের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে।
স্ববিরোধ
এলজিইডির কেন্দ্রীয় ড্যাশবোর্ডে “১০০% ডিজিটাল পেমেন্ট” দেখালেও, সবংয়ের ৯০% শ্রমিক টাকা পায়নি।গবেষণা: কেন এই সংকট? অর্থ বরাদ্দে ফাঁক:প্রকল্পের ৬০% টাকা আসে কাজ শেষ হওয়ার পর, ফলে স্থানীয় পর্যায়ে নগদ প্রবাহ সংকট।দালাল চক্র: ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তা-দালাল চক্র তালিকা ফর্দ বানিয়ে টাকা আটকে রাখে।ডিজিটাল বিভ্রান্তি: গ্রামীণ শ্রমিকরা ই-কেএইচসি অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারায়, টাকা এজেন্টের কাছে আটকে যায়।ও সাধারণ পাবলিক টাকা পায় না এইজন্য।